গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার এবং দলটির রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মধ্যে।
আজ (বুধবার) রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উভয় দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এ দাবি জানায়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দ। এনসিপির পক্ষ থেকে বৈঠকে অংশ নেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ অন্যান্য নেতারা।
বৈঠক শেষে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, “গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে, এবং বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা উচিত। এছাড়া, নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের বিচারের দৃশ্যমান তৎপরতা এবং দলটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে।” তবে, নির্বাচনের বিষয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি।
বৈঠকে আলোচনায় আসে যে, আওয়ামী লীগ শাসনামলে আলেম ও বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য একযোগে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা। পাশাপাশি, ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরের নৃশংসতাসহ আওয়ামী লীগ আমলে গুম, খুনের বিচার এবং সব মামলা প্রত্যাহারের দাবিও তোলা হয়। ৩ মে ঢাকায় হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশের প্রসঙ্গেও আলোচনা করা হয়।